স্টার্ফ রিপোর্টার ::নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ৫ নং ইউপির বনগাঁও গ্রামে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার আওয়ামীলীগের নেতারা। মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) আউশকান্দি ইউপির বনগাঁও গ্রামে জমি দখলের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের নেতা বলে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি। জানাযায়, আউশকান্দি ইউপির বনগাঁও গ্রারামের মৃত কাপ্তান মিয়ার ছেলে বদরুল আমিন (২৯) বিএনপির নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিল । বিএনপি যে কোন কর্মকান্ডে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তাকে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা কয়েক বার চাপ সৃস্টি করেন। এরপরও বদরুল আমিন তার আদর্শ থেকে সরে আসেনি। ফলে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। কর্মসচীর শেষে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মৃত আব্দুল খালিক মিয়ার ছেলে আব্দুস শহীদ (৫০), ওহিদ মিয়া (৪৬), মোশাহিদ আলী (৪০), মুস্তাকিন মিয়া (৩৬) জুয়েল মিয়া (৩০) সহ কিছু নেতা কর্মীরা নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের সংগঠনিক সম্পাদক মাসেদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: রিমন মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আলী জাবেদ মান্না সহ কয়েক জন কর্মীকে মেরে মারাত্নক ভাবে আহত করে। আওয়ামীগের নেতারা দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্লীল ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে ছাত্রদলের নেতারা।হামলায় মারাত্নক ভাবে আহত হন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের সংগঠনিক সম্পাদক মাসেদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: রিমন মিয়া। আহতদের সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদরুল আমিন দেশের বাহিরে চলে যায়। বর্তমানে নিজ প্রয়োজনে বনগাঁও গ্রামে বদরুল আমিনের মা . ১৫ শতক জমি বিক্রি করার জন্য ক্রেতাদের সাথে আলাপ আলোচনা চালালে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুস শহীদ (৫০), ওহিদ মিয়া (৪৬), মোশাহিদ আলী (৪০), মুস্তাকিন মিয়া (৩৬) জুয়েল মিয়া (৩০) সহ কিছু নেতা কর্মী বাঁধা সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুস শহীদ এর নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন নেতা কর্মী জমি দখল করে নেয়। এ সময় তারা বদরুল আমিনকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে।
বদরুল আমিন এর মা মোছা: পিয়ারা বেগম বলেন, আমাদের অপরাধ আমার ছেলে বিএনপির আদর্শ রাজনীতি করতো। ওরা এক সময় আমার ছেলেকে খুব মারধোর করে মেরেই ফেলেছিল। পরে আমি তাকে দেশ থেকে চলে যেতে বলি। ওরা আমার মূল্যবান জমি দখল করে নিয়েছে। আমার ছেকে পেলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে গেছে। আমি নবীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি। গততে ১৮ সালেও আমার ছেলেকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। সে সময়ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ডালিম আহমেদকে ঘটনাটি জানাই এবং সন্ত্রাসীদের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করার অনুরোধ করি। পুলিশ অফিসার বললেন, ওরা খুব শক্তিশালী; আপনি স্থানীয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেন।